বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। আমরা অনেক কিছু খাই, পান করি। আমাদের একেক জনের খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। আবার আমরা সবাই একই গতিতে খাবার খাই না। এই খাদ্য পরিপাকে পাকস্থলী একটি বড় ভ‚মিকা রাখে। আমাদের মানবদেহে পরিপাকতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই পাকস্থলী যা আমাদের খাদ্য পরিপাক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং সহায়তা করে। এটি মানবদেহে একটি একক ইউনিটের বায়োমেডিক্যাল যন্ত্র। এর কার্যক্রম সম্পূর্ণরুপে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই মনের আবেগের সাথেও এই অংশের কার্যক্রম প্রভাবিত হয়। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পেছনে অন্ত্রের স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। কারণ আমাদের রোগ প্রতিরোধক কোষের শতকরা ৭০ ভাগ অন্ত্রের ভেতরে থাকে। গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল বা পরিপাকতন্ত্রের অসুখের সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। আমাদের দেশের মানুষ ভাজাপোড়া এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করে, যার ফলে তাদের পাকস্থলীতে নানা সমস্যা দেখা যায়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে পাকস্থলীর সমস্যাগুলো সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সাধারণ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও পরিপাকতন্ত্রের আরো অনেক জটিল রোগ আমাদের মাঝে দেখা যায়।
‘পেটের পীড়া চিকিৎসা-ওষুধ’ গ্রন্থটি মোট চারটি প্রধান গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে যা প্রত্যেকটি-ই একে অন্যের পরিপূরক। এই গ্রন্থে পাকস্থলী সংক্রান্ত সার্বিক ফিজিওলজি, এনাটমি, রোগ এবং রোগ নির্ণয় পদ্ধতি, চিকিৎসা, ওষুধ, পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
‘পেটের পীড়া চিকিৎসা-ওষুধ’ গ্রন্থটি সহজবোধ্য করার লক্ষ্যে বাংলা ভাষার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রঙিন চিত্রের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। এই গ্রন্থটির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পল্লী চিকিৎসক বা রুরাল মেডিকেল প্রাকটিশনার, চিকিৎসা সহকারী, কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টসহ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সকল প্রোফেশনাল এবং স্বাস্থ্য সচেতন সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
এই গ্রন্থটি রচনায় বিভিন্ন দেশী-বিদেশী বই, জার্নাল, পত্র-পত্রিকা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মূল্যবান মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। আমি সামগ্রিকভাবে সবার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
গ্রন্থটি সম্পর্কে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ জানালে আমরা তা সাদরে গ্রহণ করবো, যা গ্রন্থটির পরবর্তী সংস্করণকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলবে ইনশাআল্লাহ। গ্রন্থটি নির্ভুল করার লক্ষ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, তথাপিও যেকোনো ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি। পরিশেষে ‘পেটের পীড়া চিকিৎসা-ওষুধ’ গ্রন্থটির মাধ্যমে পাঠক/পাঠিকাবৃন্দ উপকৃত হলেই আমার ক্ষুদ্র প্রয়াসটি সার্থক হবে। আল্লাহ্ হাফেজ।
মোঃ মশিউর রহমান –
পেটের পীড়ার বিভিন্ন দিক যেমন গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি নিয়ে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করার জন্য লেখকের নিকট কৃতজ্ঞ ।
Sajjad Hossain –
পেটের পীড়া নিয়ে লেখা এই বইটি শুধু চিকিৎসা নয়, বরং কারণ, প্রতিরোধ ও ঘরোয়া যত্ন নিয়েও বাস্তবভিত্তিক দিকনির্দেশনা দেয়। হালকা ব্যথা থেকে শুরু করে জটিল সমস্যা পর্যন্ত—সব কিছু বোঝার জন্য এক অসাধারণ সহায়ক।
Afsana Rahman Kona –
পেটের বিভিন্ন রকম অসুখ এখন নিত্য দিনের সঙ্গী। তাই এই বইটি প্রত্যকেই সংগ্রহে রাখা উচিত বলে মনে করি।
Sabina Yeasmin –
পেটের পীড়া বইটা পড়ে খুব সহজেই গ্যাস্টিক বা পেটের সমস্যা গুলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। বইটা চমৎকার।
Md Saiful Islam –
আমি “পেটের পীড়া” বইটি পড়েছি এবং এককথায় বলতে হয়—এটি একটি দরকারি ও সময়োপযোগী বই। আমাদের দেশে পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস্ট্রিক, এসিডিটি, আলসার, হজমের সমস্যা, ডায়রিয়া বা পেট ব্যথা খুবই সাধারণ হলেও, মানুষ ঠিকমতো এই সমস্যাগুলোর কারণ ও প্রতিকার জানে না।
এই বইটিতে পেটের বিভিন্ন রোগ, তাদের কারণ, প্রাথমিক উপসর্গ, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ ভাষায়, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘরোয়া সতর্কতা, খাদ্যাভ্যাসের নির্দেশনা এবং চিকিৎসকদের পরামর্শসহ প্রতিটি অধ্যায়ই পাঠককে সচেতন করে তোলে।
যারা প্রায়ই গ্যাস্ট্রিক, হজমের গণ্ডগোল বা পেটের অন্য কোনো সমস্যায় ভোগেন—তাদের জন্য বইটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এমনকি যারা নিজের বা পরিবারের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন, তাদের ঘরেও বইটি থাকা উচিত।
আমি মনে করি, স্বাস্থ্য সচেতন প্রতিটি মানুষের জন্য এই বইটি একটি চমৎকার গাইড হতে পারে।
Most. Alpona Akter –
আমি নিজে অনেক দিন যাবৎ পেটের সমস্যায় ভুগছিলাম, বইটির নির্দেশনা মেনে উপকার পেয়েছি।
Sadia Ahmmed –
অসাধারণ একটি বই । বইটিতে হজমজনিত সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, অম্বল, ডায়রিয়া ইত্যাদির কারণ ও চিকিৎসা খুব সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
md yousuf –
পেটের পীড়া চিকিৎসা-ওষুধ বইটি পড়ে পেটের নানা সমস্যার জন্য সঠিক চিকিৎসা এবং ঔষধ ব্যবহারের ব্যাপারে অনেক নতুন জ্ঞান পেয়েছি।
বইটি খুবই বিস্তারিতভাবে পেটের সমস্যাগুলোর চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ওষুধের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করেছে।
এটি চিকিৎসকদের এবং স্বাস্থ্যসেবী পেশাদারদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
Bayazid –
পেটের সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে সহজ ভাষার গাইড।