Your Trusted Partner in Health Awareness & Wellness

গর্ভাবস্থা, আকস্মিক অসুস্থতা, সংক্রমণ, দীর্ঘ উপবাস, ভ্রমণ, রমজানের রোজা বা হজ্বের মতো বিশেষ ধর্মীয় বা বিশেষ অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত সতর্কতা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। বিশেষ অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর শারীরিক অবস্থা ও পরিবেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে রোগ ব্যবস্থাপনায় প্রতিকারমূলক করণীয় কী হতে পারে, তা বিষয়ে “ডায়াবেটিস চিকিৎসা এবং প্রতিকার” বইয়ে সুস্পষ্ট ধারণা ও প্রতিকারমূলক কৌশলসমূহ প্রদান করা হয়েছে।

প্রফেসর ডাঃ মোঃ ফরিদ উদ্দিন স্যারের লিখিত “ডায়াবেটিস চিকিৎসা এবং প্রতিকার” বইয়ে রমজানের রোজা বা হজ্বের মতো বিশেষ ধর্মীয় ও জরুরি পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কিভাবে পরিচালনা করা যায়, তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

যে যে বিষয়ে উল্লেখ আছে —

  • গর্ভকালীন বা গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস ।
  • ডায়াবেটিস ও রমজান ।
  • হজ ও ডায়াবেটিস।
  • অসুস্থকালীন সময়ে ব্যাবস্থাপনা ।

গর্ভকালীন বা গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস জানা কেন জরুরি ?

গর্ভকালীন বা গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes Mellitus, GDM) জানা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

কারণগুলো দেওয়া হলো –

মায়ের জন্য ঝুঁকি কমানো:
  • গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে মা উচ্চ রক্তচাপ, প্রি-ইক্লাম্পসিয়া, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এবং ইনফেকশনের ঝুঁকিতে থাকেন।
  • পরবর্তী জীবনে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
শিশুর জন্য ঝুঁকি কমানো:
  • গর্ভে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকলে শিশু অতিরিক্ত ওজন নিয়ে জন্ম নিতে পারে (Macrosomia), যা প্রসবকালে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
  • জন্মের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা আরও কিছু জটিলতা হতে পারে।

ছবিঃ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস চিকিৎসা, ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিরোধ

প্রসূতি ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: ডায়াবেটিস থাকলে ডেলিভারির সময় এবং পরে শিশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে গর্ভকালীন জটিলতা এবং প্রি-ম্যাচিউর জন্মের ঝুঁকি বাড়ে।

সময়মতো চিকিৎসা ও পরামর্শ: GDM জানলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্য, ব্যায়াম এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ বা ইনসুলিন ব্যবহার করা যায়। এটি মা এবং শিশুর জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগী রমজান মাসে কীভাবে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন?

ডায়াবেটিস রোগীরা রমজান মাসে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। প্রফেসর ডাঃ মোঃ ফরিদ উদ্দিন স্যারের লিখিত “ডায়াবেটিস চিকিৎসা এবং প্রতিকার” বইয়ে রমজানের রোজা অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন প্রতিকারমূলক কৌশল ও নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সেহরি ও ইফতারে সুষম খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত চিনি ও তেল এড়িয়ে চলা, নিয়মিত রক্তে শর্করা পরিমাপ, পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ, এবং ডাক্তার নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ সমন্বয় অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া হালকা ব্যায়াম বা হাঁটার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখা সম্ভব, যা ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর।

 

ডায়াবেটিস রোগী রমজান মাসে

আলোচকঃ ডায়াবেটিস চিকিৎসা এবং প্রতিকার বইয়ের লেখক, প্রফেসর ডাঃ মোঃ ফরিদ উদ্দিন স্যার, প্রেসিডেন্ট (এসিইডিবি)

হজ চলাকালীন সময়ে কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন

ডায়াবেটিস

হজ চলাকালীন সময়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ পদযাত্রা, অপ্রত্যাশিত খাদ্যাভ্যাস এবং সময় পরিবর্তনের কারণে রক্তের শর্করায় ওঠানামা ঘটতে পারে। প্রফেসর ডাঃ মোঃ ফরিদ উদ্দিন স্যারের “ডায়াবেটিস চিকিৎসা এবং প্রতিকার” বইয়ে হজ চলাকালীন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিশেষ প্রতিকারমূলক কৌশল ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: নিয়মিত রক্তে শর্করা পরিমাপ, সুষম ও সময়মতো খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি ও তরল পান, চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ সমন্বয় এবং অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলা। এছাড়া হালকা ব্যায়াম বা পদচারণা নিয়ন্ত্রিতভাবে করা যেতে পারে যাতে শর্করা স্থিতিশীল থাকে।

💡 ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেতে আজই অর্ডার করুন

Scroll to Top
0