২০২৫ সালে বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যবহৃত ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA) উৎপাদন ব্যয়, কাঁচামালের মূল্য এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই আপডেটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম ৫০% থেকে ১০০% পর্যন্ত বেড়েছে।

নতুন দামের সংক্ষিপ্ত চিত্র:
- প্যারাসিটামল ৫০০ এমজি ট্যাবলেটের দাম ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ টাকা।
- মেট্রোনিডাজল ২০০ এমজি ট্যাবলেটের মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে।
- অ্যামোক্সিসিলিন ৫০০ এমজি ইনজেকশনের দাম ২৪ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকায়।
- অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক যেমন সেফট্রিয়াক্সন, ক্লোক্সাসিলিন, নরফ্লক্সাসিনের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
জাকির হোসেন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন দাম হালনাগাদ না হওয়ায় ওষুধের প্রাপ্যতা কমে যাচ্ছিল। গুণগত ও পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখতে সরকার মূল্য হালনাগাদ করেছে।
দাম বৃদ্ধির কারণসমূহ
ডিজিডিএ সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়া, উৎপাদন ও সরবরাহ খরচ বৃদ্ধির কারণে ওষুধের দাম আপডেট করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত ঔষধ মূল্য নির্ধারণ কমিটির ৫৮তম সভায় এই নতুন মূল্য তালিকা অনুমোদিত হয়।
অতীত ও বর্তমান পরিস্থিতি:
- সর্বশেষ বড় ধরনের দাম আপডেট হয়েছিল ২০১৫ সালে।
- ২০২৫ সালে বাজার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে নতুন দামে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
- সরকারি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওষুধের সহজলভ্যতা বজায় রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব
নতুন দাম কার্যকর হলে বাজারে ওষুধের সংকট অনেকটাই কমবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সরকার নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
সারাংশ
২০২৫ সালে বাংলাদেশের ওষুধ বাজারে নতুন দামের এই পরিবর্তন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও কার্যকর করতে সহায়ক হবে। সরকার স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য রাখার পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।